নিম্নমূখি সংক্রমণ কোভিড পরিস্থিতি হঠাৎই কয়েকগুন বেড়েছে । যা নিয়ে উদ্ভেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বলছে, গণজমায়েত, মাস্ক না পরা সহ অসচেতন এর মূল কারণ।
স্বাস্থ অধিদফ্তর এরই মাঝে মাস্কপরা বাধ্যতামূলক রা সহ ১১ টি সতর্কতা জারি করে। বিশ্লেষকদের মতে টুরিষ্টস্পট গুলোকে কঠোর নজরদারিতে আনা ও গাদাগাদি করে গণপরিবহনে যাতায়াত কন্ট্রোল না করতে পারলে সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে যাবে। এদিকে গণহারে টিকাদান কর্মসূচি চলায় জনমনে ধারণা জন্মেছে ভাইরাস নির্মূলের দিকে যাচ্ছে। যার প্রভাব দেখা দিয়েছে সুরক্ষা নীতি এড়িয়ে চলা ও সংক্রমণ বৃদ্ধিতে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১৮ জানুয়ারি ভাইরাস সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসে। এমনকি এটি ৩ শতাংশের নিচেও নেমে এসেছিল। তবে, সোমবার সংক্রমণের হার বেড়ে ৯.৪৮ শতাংশ হয়েছে।
বুধবার সংক্রমণের হার ছিল ৫.৯৮ শতাংশ, বৃহস্পতিবার ৫.৮২ শতাংশ, শুক্র ও শনিবার যথাক্রমে এ হার ছিল ৬.৬২ ও ৬.২৬ শতাংশ। রোববার সংক্রমণের হার ছিল ৭.১৫ শতাংশ।
বুধবারের আগে প্রতিদিন করোনা শনাক্ত এক হাজারেরও নিচে ছিল। সোমবার আগের ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৭৩ জনের শরীরে নতুন করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়ার পর ইউরোপে রক্ত জমাট বাঁধার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এতে মানুষ টিকা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করছে। তবে বিশ্বস্বাস্থ সংস্থা জানায়, করোনার টিকার সঙ্গে রক্তজমাট বাঁধার কোনো সম্পর্ক আছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে।
বাংলাদেশে মানুষকে টিকা নিতে আগ্রহী করার অভিযান আরো জোরদার করতে হবে। মাস্ক পরা এবং ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য জনগণকে উৎসাহিত করতে গণ-প্রচারণা তীব্র করতে হবে বলেও মত দেন বিশেষজ্ঞরা।