পরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নয়নে কঠোর লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মানুষকে বাধ্য করতে হবে। সংক্রমণের হার কমাতে না পারলে আইসিইউ বেড বা হাসপাতাল বাড়িয়ে কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, দেশের অন্য যে কোনো অঞ্চল থেকে সিলেটে করোনা চিকিৎসার সুব্যবস্থা রয়েছে। তিনি জানান, দেশে প্রায় ৪৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে, আরও পাইপ লাইনে রয়েছে।
শুক্রবার সিলেট জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে সিলেটের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, কোথায় কী উদ্যোগ নিতে হবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বক্তারা পবিত্র ইদুল আজহায় করোনা সংক্রমণের হার যাতে না বাড়ে, রাস্তাঘাটে যাতে কেউ পশুরহাট বসাতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক), জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ মফিজুর রহমান, পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় ও সিলেট ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ।
রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে যুক্ত ছিলেন- সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. আহমদ আল কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।