1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন করবো না: আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে মাইর খেয়ে শিক্ষা হয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩

এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন করবো না, সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম এ কথা জানান।

ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচনী পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) বলেছেন, এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন করবো না। তিনি আরো বলেন, ভোটের এরকম পরিবেশ হলে, প্রার্থীদের ওপর এই ধরনের হামলা হলে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো দরকার নেই।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আগামীতে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, না না, এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন করবো না আমি।

একতারা প্রতীকের এ স্বতন্ত্র প্রার্থী আরও বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে (ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচন) আর কোনো দলই আসেনি। যে নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর হামলা চালানো হয় সেখানে এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

নতুন কোনো দল গঠন করবেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, এ মুহূর্তে আমার এরকম কোনো চিন্তাভাবনা নেই। এসময় তিনি সম্প্রতি বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রার্থীর ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেন।

আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) এর উপর হামলা পরিকল্পিত ছিল কি না, তা জানতে চাইলে আলোচিত এ প্রার্থী বলেন, এ হামলা অবশ্যই পরিকল্পিত।

কারণ, ওরা (বিরোধীদের) আগে থেকে প্ল্যান করেছিল হিরো আলম কখন কেন্দ্রে ঢুকবে।

আমি কেন্দ্রে ঢোকার পর কেন্দ্রের গেট থেকে বের হওয়ার সময়ই আমার ওপর অ্যাটাক করা হয়েছে।

এসময় হিরো আলম কেন্দ্রের ভেতর ব্যালট মেরে ভোট কারচুপিরও অভিযোগ তোলেন এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে দাবি করেন।

এদিকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অশান্তির খবর পাইনি। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ হয়েছে। আমাদের ঢাকার বাইরে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে ইউনিয়ন এবং পৌরসভা সেখানেও সুষ্ঠু হয়েছে। সব জায়গায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।

ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঠিক কত শতাংশ ভোট পড়েছে সেটা আমরা পাইনি। তবে খুবই কম ভোট পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ শতাংশ হতে পারে, সর্বোচ্চ ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ ভোট পড়তে পারে। পৌরসভাগুলো সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে, সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ।

সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলছেন।

আর এদিকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শোনেন, ১২৪টা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে একটা কেন্দ্রের পরিস্থিতি দিয়ে তো বলা যায় না নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। বিষয়টা হলো আমরা সঠিক অবস্থা এখনো জানতে পারিনি। আমরা বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। কিছু আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি, কিছু আমাদের সোর্সের মাধ্যমে জেনেছি।

ইসি আলমগীর আরো বলেন, ‘আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) অনেক সমর্থকসহ কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন। তার সঙ্গে প্রায় ৭০ জনের মতো ইউটিউবার ছিলেন। তখন তাকে গেটে আটকে দেওয়া হয়। বলা হয়েছে, আপনার এজেন্ট বা চার পাঁচজন নিয়ে ঢুকতে পারবেন। বাকিদের কেন্দ্র থেকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ভোটকেন্দ্রে কোনো কিছু হয়নি। তিনি যখন রাস্তায় এসেছেন তখন ওনাকে কে বা কারা ধাওয়া দিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি সুষ্ঠু-তদন্তের। এরই মধ্যে কিছু গ্রেফতার করা হয়েছে

বনানী বিদ্যানিকেতন, শাহজাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশকিছু কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগে আলমগীর বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। অনেকগুলো কেন্দ্রে আমরাও গিয়েছি, ম্যাডাম গেছেন কেউ আমাদের এমন অভিযোগ করেননি। এখন আপনার করছেন। কেন্দ্রে তো ইউটিউবার ঢুকতে পারে না। ঢুকতে পারে সাংবাদিক, যাদের নির্বাচন কমিশন কার্ড দিয়েছে। ১২৪টা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটা কেন্দ্রে তো এমন হতেই পারে, এর জন্য ভোট সুষ্ঠু হয়নি বলা যাবে না।

নির্বাচনের যে ভোট পড়েছে সে ব্যাপারে আপনারা সন্তুষ্ট কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ভোট হোক। ভোটরা কেন যায়নি তার অনেক কারণ থাকতে পারে, সেটা আমি জানি না। বলাও ঠিক হবে না।

নতুন দুইটি দলকে নিবন্ধনের বিষয়ে দুটি কথা বলা হচ্ছে একটি নির্বাচন কমিশন সরকারের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে, অন্যটি আপনারা যে দুটি দলকে নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে- এ বিষয়ে আলমগীর বলেন, অভিযোগ করতেই পারে, নির্বাচন কমিশন কোনো গোয়েন্দা সংস্থার কথায় চলে না। কোনো গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে কাজও করে না। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান।

দুটি দলের নিবন্ধনের বিষয়ে যে বিতর্ক সে বিষয়ে তিনি আরো বলেন, নিবন্ধন পেতে হলে কেন্দ্রে একটি অফিস থাকতে হবে, বাইশটি জেলায় তাদের অফিস থাকতে হবে এবং ৬১ উপজেলায় তাদের অফিস থাকতে হবে। মোট প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে, সেটার ওপর সেকেন্ড টাইম আরেকটা তদন্ত করা হয়েছে, দুটি কমিটির তদন্তে যেখানে মিলে গেছে, সেই হিসেবে এ দুটি পার্টি শর্তগুলো পূরণ করতে পরেছে। তাই তাদের নিবন্ধ দেওয়া হয়েছে। বাকি যারা পারেনি তাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি।

নির্বাচন কমিশন সরকারের অঙ্গ সংগঠন এ প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেন, এটা একটা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক দেশে যে কোনো মানুষ, যে কোনো অভিযোগ করতে পারে, সেই অধিকার তাদের আছে, সেটা কতটুকু সত্য সেটা বিচার করবে দেশের জনগণ।

এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি সম্মেলনে বলেছেন, পদযাত্রা নয় এটা বিএনপির জয়যাত্রা, দাবি একটাই অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। ৩৬ দলের একটাই ঘোষণা, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সরকারকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। অবৈধ হাসিনা সরকারের অধিনে নির্বাচন নয়।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচন দেখলাম। একদিকে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট থিংক ট্যাংক বিপরীতে হিরো আলম। খালি ভোটকেন্দ্র, কোথাও ভোটার উপস্থিতি নাই। নির্বাচন কমিশন একটা পঙ্গু। একটা ভোট পড়লে টেলিভিশন লাইভ করে, এটা লজ্জার।

মির্জা ফখরুল বলেন, হিরো আলম রাজনৈতিক ব্যক্তি নয় তাকেও পেটানো হলো। তামাশা করে কোন লাভ হবে না। ২০১৪ সালে ১৫৪ জনকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাশ করিয়েছেন, ২০১৮ সালে রাতে ভোট করেছেন। এখন দেশের মানুষের পকেট খালি করছেন আর কর বাড়াচ্ছেন।

অসৎ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার অসৎ ব্যবসায়ীদের সরকার। চারিদিকে লুট-পাট হচ্ছে অথচ দেশের জনগণ কষ্টে আছে। সিঙ্গাপুর ও আমেরিকায় বাড়ি বানায় অসৎ ব্যবসায়ীরা। সরকার গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়েছে। অবিলম্বে পদত্যাগ করেন।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব