এশিয়ায় সামরিক শক্তির দিক থেকে অত্যন্ত প্রভাবশালী অবস্থান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বহু বছরের পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশটি এ মর্যাদা অর্জন করেছে।
মার্কিন এ প্রভাব কমিয়ে সে অবস্থান দখলে নেয়ার জন্য প্রযুক্তি চুরির কৌশল নিয়েছে চীন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
চীন মার্কিন প্রযুক্তি ও বুদ্ধিভিত্তিক সম্পত্তি চুরি করছে- যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্বের এমন অভিযোগ বহু পুরনো।
সম্প্রতি ছয়জন মার্কিন শিক্ষাবিদকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র। তারপর প্রযুক্তি চুরির চীনা চেষ্টা আবারও সামনে আসে এবং বিষয়টি মার্কিন কর্তৃপক্ষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
বিশ্ব নেতৃত্ব কব্জা করার আগে এশিয়ায় নিজেদের একচ্ছত্র প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে চায় বেইজিং। কিন্তু এক্ষেত্রে এশিয়ায় সামরিক পরাশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জায়গা নেয়া’ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বনেতা হওয়ার লক্ষ্যে চীন উদ্ভাবনে ব্যর্থ হয়ে চুরির প্রয়াস নিচ্ছে।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা চীনের বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে তাদের বিশেষ সম্পর্কের বিষয়টি গোপন রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গবেষণা খাতের অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন।
এদের মধ্যে আছেন এমআইটির ন্যানোটেকনোলজিস্ট গ্যাংচেন। চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক তিনি। আরেকজন হলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান চার্লস লিবার। তার কাজ ছিল চীনে কাজ করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেরা সেরা বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ জোগাড় করা।
গত বছরের জুলাই মাসে এফবিআই চারজন চীনা নাগরিককে গ্রেফতার করে। এরা সাধারণ গবেষক সেজে পড়ালেখা করছিলেন। আদতে চারজনই ছিলেন চীনা আর্মি অফিসার।
ট্রাম্পের আমলে প্রযুক্তি চুরি রোধে অভিযান চলার সময় হাজারখানেক চীনা ছাত্র ডিগ্রির পড়ালেখা শেষ হওয়ার আগেই স্বদেশে ফিরে যান।
ধারণা করা হয়, চীনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে এদের সংযোগ থাকায় গ্রেফতারের ভয়ে এরা পালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ৩ লাখ ৬০ হাজার চীনা শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন। এর অধিকাংশই এমন সব কাজে লিপ্ত যা কর্তৃপক্ষীয় নজরদারিতে ধরা পড়ে না।