রাজধানীর ওয়ারীর জয়কালী মন্দির এলাকায় ভাড়া নিয়ে বিতণ্ডা ও হাতাহাতির জেরে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে এক যাত্রীকে ফেলে দিয়েছে বাস কন্ডাক্টর । এসময় গুরুতর আহত সে যাত্রীকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পুলিশ গ্রীনবাংলা পরিবহন নামের বাসটির চালক ও তাঁর সহকারীকে আটক করেছে। ওই বাসের কন্ডাক্টর মোজাম্মেলকে খুঁজছে পুলিশ।
স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে যাত্রী ইরফান আহমেদকে (৪৮) ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন বাসটির কন্ডাক্টর। ইরফান নবাবপুর এলাকার একটি ইলেকট্রিক দোকানের কর্মী ছিলেন।
ওয়ারীতে নিহত ইরফানের ভাই রায়হান বলেন, তাঁরা ডেমরা সারুলিয়ার বড়ভাঙ্গা এলাকায় থাকেন। গতকাল সকালে ডেমরা থেকে নবাবপুরে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে বাসে ওঠেন ইরফান। জয়কালী মন্দির এলাকায় গ্রীনবাংলা নামের ওই বাস থেকে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় সালাউদ্দিন হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইরফানের সহকর্মী আব্দুল কাদের বলেন, ‘বাসের কন্ডাক্টর মোজাম্মেলের সঙ্গে ইরফানের ভাড়া নিয়ে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতি হলে মোজাম্মেল কিল-ঘুষি মেরে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে নিচে ফেলে দেন। তখন আমরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ’
ওয়ারী থানার ওসি কবির হাওলাদার বলেন, ঘটনার পরই বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক ও চালকের সহকারীকেও আটক করা হয়েছে। মূলত ২০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা দেওয়া নিয়ে তর্ক হয়। জয়কালী মন্দির এলাকায় কন্ডাক্টর মোজাম্মেল দ্বিতীয় দফায় তর্ক শুরু করলে হাতাহাতি হয়। এ সময় ইরফানকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর শরীরে দৃশ্যত বড় ধরনের জখম না হলেও মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
ইরফানের বাবার নাম আলমগীর হোসেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে ইরফান ছিলেন ছোট। এক মেয়ের জনক তিনি।