নাটোরে জালাল উদ্দিন রাইচ মিলের এক মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে এক কোটি ৫২লাখ ৫১হাজার ৩১১ টাকা। মিটারের রিডিং কম্পিউটারে লিখতে ভুল করায় বিলে টাকার পরিমান বেড়েছে। দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন মহাব্যবস্থাপক। এমন ঘটনা নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের আমিরগঞ্জ বাজারে জালাল উদ্দিন আব্দুর রহিমের ছেলে মো: এই আলোচিত চালকলের মালিক।
চালকলের মালিক জালাল উদ্দিন জানান, গড়ে প্রতিমাসে তার চালকলে বিদ্যুৎ বিল আসে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি বেশ কিছু দিন নিজের প্রতিষ্ঠানে আসতে পারেননি। কিন্তু গত আগস্ট মাসের বিল আসে এক কোটি ৫২লাখ ৫১হাজার ৩১১ টাকা। আর ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে বিল পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল। বিল হাতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দপ্তর নাটোর শহরের ফুলবাগান এলাকায় ছুটে যান তিনি। এসময় বিলিং সহকারীদের কাছে অভিযোগ জানালে তারা সমস্যার কোন সমাধান না করে উল্টো তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
এসব বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর মহাব্যবস্থাপক ফকরুল আলম মোবাইল ফোনে জানান, জালাল উদ্দিন রাইচ মিলের আগস্ট মাসের মিটারে রিডিং ছিলো ১৪৪.৮৬ ইউনিট। এখানে দশমিকের জায়গায় ভুলঃবশত শূন্য দিয়েছে কম্পিউটার অপারেটর। যার ফলে রিডিং চলে আসে ১৪৪০৮৬ ইউনিট। যা বর্তমান দাম ও ভ্যাট যোগ করলে এক কোটি ৫২লাখ ৫১হাজার ৩১১ টাকা। এটা একটি অসাবধানতা বসত ভুল। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে। সাথে কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।