ইসরাইলে বিরোধী দলগুলো সরকার গঠনে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে কট্টর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুগের অবসান হতে চলেছে। নেতানিয়াহুর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন নাফতালি বেনেট। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ইসরাইলের বিরোধী দল ইয়েস আতিদ পার্টির চেয়ারম্যান ইয়ার লাপিড বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়েছেন যে, আটটি দলের একটি জোট গঠন হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন ইয়ামিনা পার্টির নাফতালি বেনেট।
এক বিবৃতিতে লাপিড বলেন, জোট গঠনের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট রিউভেন রিভলিনকে জানানো হয়েছে। আমি আশা করছি, এই সরকার ইসরাইলের সব নাগরিকের জন্য কাজ করবে। যারা আমাদের ভোট দিয়েছেন এবং যারা দেননি সবার জন্য কাজ করবে এ সরকার।
‘এ জোট বিরোধীদের সম্মান করবে এবং ইসরাইলের সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও সংযুক্ত করার জন্য যা যা করার দরকার তার সবটাই করবে।’
প্রেসিডেন্টকে দেওয়া নোটে বলা হয়, বেনেটের পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন লাপিড। তিনি দায়িত্ব নেবেন ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট থেকে।
জোটের অন্য দলগুলো হচ্ছে- ইয়াস আতিদ। যাদের আসন সংখ্যা ১৭। বেনি গান্টজ নেতৃত্বাধীন ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি। যাদের আসন সংখ্যা ৮। এর পর এভিগডোর লিবারম্যানের ইসরাইল বেইতেইনু। এ দলের আসন সংখ্যা ৭। মেরেভ মিখাইলের লেবার পার্টির আসন ৭টি, নাফতালি বেনেটের ইয়ামিনা পার্টির আসন ৭টি, গিডেউন সারের নেতৃত্বাধীন নিউ হোপের আসন ৬টি, নিটজান নিতজান হোরোভিটসের নেতৃত্বাধীন মেরেটজের আসন ৬টি এবং মনসুর আব্বাস নেতৃত্বাধীন রাম পার্টির আসন সংখ্যা ৪।
সরকার শপথ নেওয়ার আগে নেসেটে আস্থা ভোটের প্রয়োজন হবে। প্রেসিডেন্ট রিভলিন যতদ্রুত সম্ভব পার্লামেন্টে আস্থাভোটের আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন।
যদি বিরোধী এ জোট ১২০ আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিতে ব্যর্থ হয় তবে গত দুই বছরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো আবারও ভোট আয়োজন করতে হবে দেশটিতে। নেসেটে ৬১ আসন পেলে তবেই সরকার গঠন করতে পারবে বিরোধী এ জোট।
এর আগে গত দুই বছরের মধ্যে চারবার সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ইসরাইলে। এর মধ্যে কোনোবারই এককভাবে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নেতানিয়াহু ১২ বছর ধরে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে। শেষ পর্যন্ত তার যুগের অবসান ঘটতে চলেছে।