কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় প্রকাশিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি ‘তথ্যভিত্তিক নয়’ মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, এটি ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বহিঃপ্রকাশ।
বুধবার দুপুরে গুলশান পুলিশ প্লাজায় নৌ-পুলিশের ‘বঙ্গবন্ধু কর্নারের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দেখুন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইএসপিআর ওই প্রতিবেদনের জবাব দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক নয়। এটা হলুদ সাংবাদিকতা।… এগুলো সাংবাদিকতার নর্মসের ভেতরে পড়ে না।”
এর আগে সোমবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে আল জাজিরায় প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা ও মানহানিকর’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
সেখানে বলা হয়, কিছু ‘উগ্রপন্থি ও তাদের সহযোগী, যারা লন্ডন এবং বিভিন্ন জায়গায় থেকে এসব করছে’, তাদের এই ‘বেপরোয়া অপপ্রচারকে’ বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাখ্যান করছে।
আর সেনা সদরের তরফ থেকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদনকে বর্ণনা করা হয় ‘সাজানো এবং দুরভিসন্ধিমূলক’ হিসেবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি, যারা এটা করেছে। তাদের একটি উদ্দেশ্য ছিল। সে উদ্দেশ্য নিয়ে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। আমরা মনে করি এগুলো ভিত্তিহীন এবং দেশবিরোধী একটি ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।”
গত কয়েক দিনে ‘ভেজাল’ মদের বিষক্রিয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে এক ডজনের বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা।
উত্তরে তিনি বলেন, “কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, যারা এগুলো করে, তারা অনেক সময় ভেজাল মিশ্রিত করে থাকে। বিগত দিনগুলোর দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন অনেক সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ডিবি পুলিশ তাদের শনাক্ত করেছে। কোথায় কীভাবে ভেজাল হচ্ছে কোথায় হচ্ছে- তাদের ধরে ফেলেছে।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “আপনাদের যারা মদ্যপান করেন, তারা অবশ্যই ভেজাল মদ যেন না পান করেন। ভেজাল মদ পান করলে এ ধরনের দুর্ভোগ হতে পারে, তারা যেন সেটা মনে রাখেন।”
কোথা থেকে এই ভেজাল মদ আসছে, সেটা পুলিশ ‘দেখছে’ বলে মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মিয়ানমারে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ফের সেনাশাসন জারির বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মিয়ানমারের কী করছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মিয়ানমারে আগেও সামরিক শাসন ছিল। পরে সরকার বদলালেও সামরিক নিয়ন্ত্রণ একটা ছিল, সেটাও আমরা দেখেছি। সেই শাসকদের কতখানি ক্ষমতা ছিল সেটা আমাদের বোধগম্য ছিল না।”
মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “যারা পূর্বে অনুপ্রবেশ করেছে, তারা তো করেছেনই, নতুন করে কেউ যেন ঢুকতে না পারেন, সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি আছে।”