গত বছর তিন বিঘা জমিতে বোরো আর বাকি আড়াই বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছিলেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামের কৃষক এজাজুল মিয়া। এবার তিনি সবটুকু জমিতেই ইরি-বোরোর চাষ করেছেন। শেষ আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনের মধ্যে ধানের চড়া দাম পেয়ে আগ্রহটা বেড়েছে তার।
এজাজুল মিয়া বলেন, ‘হাটে এখনো ধানের দাম ভালো যাচ্ছে। আবার বোরো আবাদে সরকার থেকে তিন কেজি বীজ পেয়েছি। সব মিলিয়ে এবার ধানই করেছি শুধু; ভালো দাম পাওয়ার আশায়।’
শুধু মান্দায় নয়, ‘শস্যভান্ডার’খ্যাত নওগাঁসহ সারাদেশে এ বছর বোরোর আবাদ বেশ বেড়েছে। কৃষকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারাও বলছেন, চালের চড়া দামের প্রভাব পড়েছে ধানচাষে। আমনে দাম পাওয়ায় বোরো চাষে ঝুঁকেছেন অধিকাংশ কৃষক।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ জাগো নিউজকে জানান, নওগাঁ জেলায় এরই মধ্যে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে গেছে। জেলায় এ মৌসুমে এক লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এ পর্যন্ত এক লাখ ৮৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো রোপণ হয়েছে। ফলে অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ১০৩ শতাংশ।
তিনি বলেন, এখন জেলায় কিছু সরিষা ও গমের জমি তৈরি হচ্ছে। যেখানে বোরো লাগানোর জন্য বীজতলা রয়েছে। সার্বিকভাবে এ বছর বোরোর আবাদ নতুন রেকর্ডের দিকে যাচ্ছে।
শামছুল ওয়াদুদ আরও বলেন, এখনো নওগাঁর বাজারে মোটা ধানের দাম মণপ্রতি এক হাজার ২০০ টাকা। আর মাঝারি ও সরু ধান দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যাচ্ছে, যা সর্বোচ্চ। ধানের দামের কারণেই এবার বোরো আবাদ খুব বেশি হচ্ছে।