1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন

আবাসন ভোগান্তিতে কুবি শিক্ষকরা

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ডরমেটরিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ১১ শতাংশ শিক্ষকের জন্য রয়েছে আবাসন ব্যবস্থা।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাব, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট, সুপেয় পানির অভাব, সাপ ও নানা কীটপতঙ্গের উপদ্রব এবং স্যাঁতসেঁতে ফ্লোরসহ নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে ডরমেটরিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শিক্ষকরা।

স্বল্প পরিসরের দুটি ডরমেটরি থাকলেও শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সেখানে ভাগাভাগি করে থাকতে হয়। তাছাড়া একই ডরমেটরিতে দুজন কর্মকর্তা টাইলস করা কক্ষে থাকলেও শিক্ষকদের থাকতে হয় মোজাইক করা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে।

সম্প্রতি কুবির একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে এসব অভিযোগের কথা জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২৫২ জন শিক্ষক রয়েছেন। কর্মকর্তা রয়েছেন ৯৩ জন। পাঁচতলাবিশিষ্ট দুটি ডরমেটরিতে মাত্র ২৮ জন শিক্ষক আবাসন সুবিধা পেয়েছেন। আর কর্মকর্তাদের মধ্যে এ সুবিধা পেয়েছেন ১০ জন।

ডরমেটরিগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভবন দুটির বহিরাংশের রঙ বিবর্ণ হয়ে গেছে এবং অনেক স্থানে রঙ খসে পড়েছে। ভবনের ভেতর এবং বাইরের অংশ অপরিচ্ছন্ন। পরিচ্ছন্নতার জন্য নির্ধারিত কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। এছাড়া অধিকাংশ কক্ষের বৈদ্যুতিক পয়েন্টগুলো ত্রুটিপূর্ণ।

নেই সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা। এছাড়া ডরমেটরিগুলো পাহাড়ের ওপর হওয়ায় সাপের উপদ্রবসহ নানা কীটপতঙ্গের উৎপাত যেন নিত্যসঙ্গী।

ডরমেটরিতে অবস্থানরত এক শিক্ষক এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘অপ্রতুল পরিবেশে ট্রেজারারের বসবাস করা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক’।

আরেক শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘একটা আবাসস্থলে ন্যূনতম যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন তার কোনোটিই এখানে নেই। পাহাড়সম সংকট নিয়ে ডরমেটরিগুলোতে খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি। ক্ষমতার প্রভাবে কর্মকর্তা টাইলস করা রুমে থাকেন। আর আমরা শিক্ষক হয়েও মোজাইক করা রুমে থাকি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই লজ্জা’।

এসব বিষয়ে কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শামিমুল ইসলাম বলেন, ‘এটা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে। শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন এবং ভবনগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে এটা সত্য। প্রশাসনকে জানানোর পর তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে’।

কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হবে’।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব