দুই বছর আগে রাজধানীতে এলএসডি নামক (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) মাদক জব্দ করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। মহাখালী থেকে ওই সময় এলএসডি সেবন ও বিক্রির অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন ওই দুই তরুণের বয়স ছিল ২০ বছর।
ডিএনসি বলছে, এলএসডি নতুন কোনো মাদক নয়। বাংলাদেশে এই মাদকের ব্যবহারে বহু বছর আগেই শুরু হয়েছে। তবে এর ব্যাপক বিস্তার হয়নি। কেননা, এই মাদকের দাম বেশি এবং এটি ইউরোপের দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে। নব্বইয়ে দশকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দেশে আসায় এলএসডির ব্যবহার সেভাবে দেখা যায়নি। তবে ৩–৪ বছর ধরে কিছু কিছু তরুণের মধ্যে এই মাদক নেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
সূত্র বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যু তদন্ত করতে গিয়ে এলএসডি মাদক আবার সামনে এসেছে।
ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপপরিচালক শামীম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা মহাখালী ডিওএইচএস থেকে ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই এলএসডিসহ দুজনকে হাতেনাতে ধরেন। এ ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি মামলাও হয়। মামলা নম্বর ২১। গ্রেপ্তার করা হয় রেদোয়ান আনান ও সৈয়দ আহনাদ আতিফ মাহমুদ নামে দুজনকে। ডিএনসির সুপারিনটেনডেন্ট ফজলুল হক খান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। তদন্তের পর ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এখন মামলাটি বিচারাধীন আছে।
শামীম আহমেদ বলেন, ওই দুই তরুণের কাছ থেকে ৪৬ স্ট্রিপ এলএসডি উদ্ধার করা হয়। ওই সময় প্রতিটি স্ট্রিপ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হতো। গ্রেপ্তার দুজন নিজেরা এলএসডি সেবন ও বিক্রিও করতেন।
এদিকে গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি বাসা থেকে এলএসডি নামক (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) মাদক জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ। ডিবি বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তারা এই মাদকের সন্ধান পেয়েছে।