নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৯২ কেন্দ্রের ফলাফলে বেসরকারি হিসাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী । তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট।
অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। ১৯২ কেন্দ্রে তিনি পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৬৬ ভোট।
প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ভোটের ব্যবধান ৬৬ হাজার ৯৩১ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
পৃথকভাবেও প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের চেয়ে এগিয়ে আছেন ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।
এ নির্বাচনে দেশের প্রথম নারী মেয়র এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ২০১১ এবং ২০১৬ সালে প্রার্থী হওয়ার পরও নির্বাচন বয়কট করেন। যদিও তিনি বলছেন, নিজে থেকে সরে যাননি। বিএনপি নির্বাচন বয়কট করায় তিনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার তিনি ‘জনগণের প্রার্থী’।
সকাল ৮টা থেকে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে এবার ভোট হচ্ছে।
নির্বাচনী এলাকায় মোট ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬২ জন নিবন্ধিত ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ২লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন পুরুষ, ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের ৪ জন রয়েছেন। ১৯২টি কেন্দ্রের ১,৩৩৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে মেয়র, ৯টি সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর ও ২৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের সিদ্ধান্ত হবে।
শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সেই হিসেবে প্রতিটি কেন্দ্রে ২৮ জন নিরাপত্তা কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ৯টি প্রতিষ্ঠানের ৪২ জন পর্যবেক্ষককে অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।