মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অসাধারণ বোলিং প্রদর্শন করে অস্ট্রেলিয়া ভারতের বিরুদ্ধে ১৮৪ রানে জয় তুলে নিয়েছে। কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দল তৃতীয় সেশনে ভারতকে ধসিয়ে দিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
ড্র এর দিকে এগোতে থাকা টেস্ট চা-বিরতির পর পুরোপুরি পাল্টে যায়। ঋষাভ পান্ত নিজের ধৈর্য হারিয়ে পার্ট-টাইমার ট্রাভিস হেডের হাফ-ট্র্যাকার বলকে লং-অনে মিচেল মার্শের হাতে তুলে দেন। এই আউটের পরই ভারতের সম্ভাব্য ড্রর স্বপ্ন চূর্ণ হতে শুরু করে। এরপর মাত্র ২৭ বলের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া আরও দুইটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেয়।
স্কট বোল্যান্ড একটি লেন্থ বল দিয়ে রবীন্দ্র জাদেজাকে ফাঁদে ফেলেন এবং উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা নীতিশ রেড্ডিকে স্টিভ স্মিথের হাতে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন নাথান লায়ন। ফলে ভারতের স্কোর দ্রুত ১২১/৩ থেকে ১৩০/৬-এ নেমে যায়।
এরপর ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালকে প্যাট কামিন্স শর্ট বলে পুল করতে বাধ্য করেন, যা সঠিকভাবে সংযোগ করতে ব্যর্থ হন তিনি। ক্যাচের জন্য আবেদন করার পর আম্পায়ার জোয়েল উইলসন আউট দেননি, কিন্তু ক্যাপ্টেন কামিন্স সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন। রিপ্লেতে বলের গতিপথে স্পষ্ট পরিবর্তন দেখা গেলেও স্নিকোতে বড় স্পাইক দেখা যায়নি। তৃতীয় আম্পায়ার বলের গতিপথ বিবেচনায় আউটের সিদ্ধান্ত দেন। ৫ম দিনের শুরুতেই রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলি নতুন বলের সামনে ব্যর্থ হন। বিরাট কোহলি লাঞ্চের আগে অফ স্টাম্পের বাইরে একটি বল খোঁচা দিয়ে ক্যাচ দেন।
মাঝের সেশনে যশস্বী জয়সোয়াল এবং ঋষাভ পান্ত প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষে ভারতের আর কোনো আশা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। স্কট বোল্যান্ড ও নাথান লায়নের দুর্দান্ত বোলিংয়ের ফলে ভারতের ইনিংস ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া: ৪৭৪ (স্টিভ স্মিথ ১৪০, মার্নাস লাবুশেন ৭২; বুমরাহ ৪-৯৯) এবং ২৩৪ (লাবুশেন ৭০, বুমরাহ ৫-৫৬, সিরাজ ৩-৭০)।
ভারত: ৩৬৯ (নীতিশ রেড্ডি ১১৪, জয়সোয়াল ৮২, ওয়াশিংটন ৫০, বোল্যান্ড ৩-৫৭, কামিন্স ৩-৮৯) এবং ১৫৫ (জয়সোয়াল ৮৪, কামিন্স ৩-২৮, বোল্যান্ড ৩-৩৯, লায়ন ২-৩৭)।
অস্ট্রেলিয়া এই জয়ের মাধ্যমে সিরিজে এগিয়ে থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে পরবর্তী ম্যাচে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে।