মোশারফ হোসেন নির্জন, অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের হয়ে গেলো এক ঝাকঝমকর্পূর্ণ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান।শনিবার ওয়েস্টার্রন অস্ট্রেলিয়ায় পার্থের উডলুপাইন ফ্যামিলি সেন্টারে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জমে উঠে এই মিলনমেলা। মূলত পার্থের বাংলাদেশীদের বিশেষ করে ঢাবির শিক্ষার্থীদের সকল ধরণের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে এই পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ডুয়াওয়া নামের এই অ্যালামনাই এসোসিয়েশন।
জানা যায়, প্রবাসে নাড়ীর টানকে আরো সুদৃঢ় করতে সাবেক শিক্ষার্থীদের একদল আয়োজক হিসেবে এগিয়ে আসেন।দীর্ঘ তিনমাসের অক্লান্ত শ্রমে নথিভুক্ত হয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের তথ্য উপাত্ত।অ্যালামনাইর কথা শুনে সবাই খুব ইতিবাচক সাড়া দেন; যেন উন্মুখ হয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন সেই মাহেন্দ্রক্ষনের।অবশেষে প্রথমবারের মতো মনোমুগ্ধকর এক আয়োজনের স্বাক্ষী হন উপস্থিত সবাই। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এ আয়োজনে দেখামেলে ষাট দশকের প্রবীণছাত্রসহ পরিবর্তী প্রায় সকল দশকের বিভিন্ন সেশনের শিক্ষার্থীদের।
সন্ধ্যা গড়াতেই উৎসুক অ্যালামনাই সদস্যরা পরিবার সহ হাজির হন।সাদা,লাল,নীল শাড়ী পড়িহিত নারীরা আয়োজিত স্থলকে রাঙ্গিয়ে তুলেন; যেন ফুটে উঠে এক টুকরো বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভদ্রলোকের পোষাকে কর্পোরেট লুক নিয়ে আসেন পুরুষ অতিথিরা। আয়োজনে আরো দেখা মেলে লাল সাদার আদলে ঢাবি’র বাস, সৌন্দর্য্মন্ডিত সেলফিফ্রেম ও মধূর রেস্তোরা ফটো-জোন।
অনুষ্ঠানে’র শুরুতেই আমন্ত্রিত অতিথিদের বরণ করে নেন স্বেচ্ছাসেবীরা। তারপর পরিচিতি পর্ব ।অনেক প্রবীণ শিক্ষার্থীরা নিজের ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের অংশ হতে পারাকে জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন বলে উল্লেখ করেন । আরো একজন উল্লেখ করেন একসময় প্রবাস থেকে দেশে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়রের শিক্ষার্থী পরিচয়ে খুব কদর মিলতো; আবার গ্রামের গঞ্জে যারা এই বিশ্ববিদ্যায়ে পড়ার সুযোগ পেত তাদের খুব মূল্যায়ন হতো, মানুষ দেখতে আসতো।আমরা সত্যিই গর্বিত।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রবীণদের আরো অনেকে স্মৃতিচারণে অংশনেন। টিএসসি, ক্যাম্পাস ও হল লাইফের স্মৃতি রোমন্থনে ক্ষণিকের জন্য ফিরে যান চার-পাচ দশকের আগের জীবনে। প্রবাসে এ যেন অন্য রকম আনন্দেন দেখা।
দিত্বীয় পর্বে দেশীয় ঘরানার খাবার দিয়ে আতিথিয়তা করা হয়।হরেক রকম খাবারের সমন্বয়কে সাধুবাদ জানান আমন্ত্রিতরা।তার পর শুরু হয় হৈ হুল্লুড় আড্ডা। সেলফি আর গ্রুপ ফটোতে মেতে উঠেন অনেকে।মাত্র চারঘন্টার আড়ম্বতা ছুয়ে যায় অংশ গ্রহণকারীদের। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধনে কাজ করেন মো: মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার স্বেচ্ছাসেবী টিম।