সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘট শুরু করেছে মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীরা।
জান্তা সরকারের কারফিউ, রাস্তা অবরোধ ও ব্যাপক গ্রেফতারের মধ্যেই এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সোমবার সকাল থেকে কারফিউ ভেঙে ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় ছোট ছোট দলে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন।
অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ মং সৌংখা বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাদের বাইরে আসার সাহস নেই, তারা ঘরে থাকুন। যেভাবেই হোক আমি বাইরে বের হব। আমি জেনারেশন জেডকে (চলতি শতকের দ্বিতীয় দশকে যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়েছে) প্রত্যাশা করছি। পার্টনাররা, চল একত্রিত হই।
রোববার পুলিশের গুলিতে নিহত নারীর শেষকৃত্যে রাজধানী নেপিদোতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন।
এসময় হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে নিহত ওই তরুণীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে এ পর্যন্ত অন্তত তিনজন নিহত হন।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে সরকারি কর্মকর্তা, চিকিৎসক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরাও কাজে ইস্তফা দিয়ে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন।
চলতি মাসের শুরুতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। প্রথম দিকে আগাম নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেও বিক্ষোভকারীরা এতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি– দেশটির নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি এবং তার জাতীয় লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের অন্য সদস্যদের যেন মুক্তি দেওয়া হয়।
মিয়ানমারের রাষ্ট্র মালিকানাধীন গণমাধ্যম এমআরটিভি সোমবারের কর্মসূচি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করেছে।
কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ নিয়ে ‘সর্বোচ্চ সংযম দেখাচ্ছে’ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিছু দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে জানিয়ে বিবৃতিতে তাদের তিরস্কারও করা হয়েছে।