সংস্কারের অভাবে যাতায়াতের চরম ভোগান্তি জামালপুর সদর উপজেলার টিউবওয়েল পাড় থেকে শুরু করে সরিষাবাড়ী পুপুলার মোড় পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার রাস্তা। পাকা সড়কের পিচ উঠে গিয়ে অসংখ্য জায়গায় গর্তের তৈরি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারী সহ অসংখ্য মানুষ।
জেলার সদর উপজেলা থেকে সরিষাবাড়ী বাউসী পপুলার মোড় পর্যন্ত সড়কের দুরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। এই রাস্তাটি জামালপুর-সরিষাবাড়ী-জামালপুর যাওয়ার সহজ রাস্তা। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে ট্রাক, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় অনেক যানবাহন চলাচল করে। রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে গিয়ে অসংখ্য স্থানে ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্তে বৃষ্টি জমে ছোট ছোট ডোবায় পরিণত হয়েছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের জুন মাসে রাস্তা দুই পাশে প্রসস্তকরন কাজ হাতে নিলেও হঠাৎ করেই কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ফলে রাস্তায় বড় বড় গর্তের কারনে যাত্রীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
ইজিবাইক ড্রাইভার সুমন, রাজন, বেলাল জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় চলতি বর্ষায় সরিষাবাড়ী-জামালপুর সদরে যাওয়ার রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
ড্রাইভার আব্দুল বারেক, খোকন মিয়া, জহুরুল ইসলাম জানান এই রোড়ে গাড়ী চালানো খুবই কষ্ট সাধ্য ও ব্যাপক ঝুকিপূর্ণ । প্রতিনিয়ত কোন না কোন দূর্ঘটনায় পড়তে হয়।
পথচারীরা জানান, আমাদের চলাচলে যেমন কষ্ট তেমনি রোগীদের হাসপাতালে আনা নেওয়াতে আরো বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। রাস্তায় বেহাল দশার কারনে চলাচলরত যানবাহনগুলোতে প্রায়ই ঘটছে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
কেন্দুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মাহবুবুর রহমান মনজু জানান, সাধারান মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে উপজেলা প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন জানান, ইতিমধ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, বর্ষার কারণে কাজ বন্ধ থাকলেও আগামী জুন মাসের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার হবে বলে আশা করছি।