অভিষেক ম্যাচে রেকর্ড সংখক বল মোকাবেলা করে রেকর্ড বুকে নাম লেখালেন কাইতানো । হারারে টেস্টে জিম্বাবুয়ের পর পর ৩ উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ। এদিন হঠাৎ জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের প্রতিরোধ ভেঙে দেন সাকিব-তাসকিন। সাকিব আল হাসান জুটি ভাঙার পরই দ্র্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ২২৫ রান ছিল জিম্বাবুয়ের। সেখান থেকে ৫ উইকেটে ২২৯ রানে পরিণত হয়েছে স্বাগতিকরা।
এদিনে ৭৯.৬ ওভারের মাথায় ৬৫ বলে ২৭ রান করা ডিওন মায়ার্সকে সাজঘরে ফেরান। এর ছয় ওভার পর আবারও সাকিব আঘাত হানলেন জিম্বাবুয়ে শিবিরে। মায়ার্সের বিদায়ের পর ব্যাট করতে আসা ডিওন মায়ার্সকে রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন তিনি। পরের ওভারেই তাসকিনের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন রয় কাইয়া। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২৯ রান।
দ্বিতীয় দিনের ১ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। ওপেনার কাইতানোর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন জিম্বাবুইয়ান ক্যাপ্টেন ব্রেন্ডন টেলর। দু’জনে মিলে গড়েন ১১৫ রানের জুটি। ৩য় দিনের প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। ভয়ংকর হয়ে ওঠা ব্রেন্ডন টেইলরকে ফেরান তিনি।
দিনের শুরু থেকেই তাসকিন-এবাদত-সাকিবদের দিয়ে আক্রমণ চালান টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল। তবে সাফল্যের দেখা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে ব্রেক থ্রু এনে দেন মিরাজ। ক্রমেই সেঞ্চুরির দিকে আগানো টেলরকে তিনি ফেরান বদলি ফিল্ডার ইয়াসির রাব্বির ক্যাচ বানিয়ে। ৮১ রান করে আউট হন টেইলর।
৪ নম্বরে নামা মেয়ার্সের সঙ্গে গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ২৭ রান করা মেয়ার্সকে সাজঘরে পাঠান সাকিব। এরপর মারুমাকেও এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে, রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান সাকিব।
এর আগে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে সব উইকেট হারিয়ে ৪৬৮ রান। মাহমুদউল্লাহ করেন ১৫০ রান। এ ছাড়া লিটন দাস ৯৫, তাসকিন আহমেদ ৭৫ ও মুমিনুল হক করেন ৭০ রান। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৪ উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ২টি করে উইকেট নেন ডোনাল্ড তিরিপানো ও ভিক্টোর নায়ুচি। এছাড়া ১ উইকেট করে নেন রিচার্ড নাগারভা ও মিল্টন শুম্ভা।