আইপিএলে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেট খুঁইয়ে ১৬৫ রান জমা করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
জবাবে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৫৬ রান করে ফেলেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। সবাই ভেবেই নিয়েছিল কোহলির দলকে সহজভাবেই হারিয়ে দেবে রোহিত শর্মার দল।
কিন্তু এর পর আর মাত্র ৫৫ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় তারা। রোববার রাতে ৫৪ রানের বড় জয় পায় ব্যাঙ্গালুরু। মুম্বাইয়ের এমন ব্যাটিং ধসের নায়ক আরসিবির লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও পেসার হার্শাল প্যাটেল।
হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট নিয়েছেন হার্শাল, ৩ উইকেট শিকার করেছেন চাহাল।
ব্যাঙ্গালুরুর তৃতীয় বোলার হিসেবে আইপিএলে হ্যাটট্রিক করেছেন হার্শাল। এমন পারফরম্যান্সের পর এক প্রতিক্রিয়ায় হার্শাল বলেছেন, জীবনে হ্যাটট্রিক করতে পারেনি, এমনকি স্কুল ক্রিকেটেও নয়। আর আইপিএলে হ্যাটট্রিক করলাম।
অর্থাৎ জীবনের প্রথম হ্যাটট্রিকটি করলেন আইপিএলে।
ম্যাচ জয়ের পর ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে হার্শাল বলেছেন, ‘আমার জীবনে প্রথমবারের মতো হ্যাটট্রিক করলাম। স্কুলের ম্যাচেও কখনও হ্যাটট্রিক করতে পারিনি। আইপিএলে এর আগে ছয়বার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। এবারই প্রথম করতে পারলাম। এটার মর্ম বুঝতেও সময় লাগবে।’
হ্যাটট্রিকের ৩ উইকেটের মধ্যে পোলার্ডকে আউট করে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি পেয়েছেন হার্শাল। বললেন, ‘পোলার্ডের উইকেটটা নিতে পেরে দারুণ আনন্দিত আমি। কারণ বলটা ছিল একটা ব্লাফ। টিম মিটিংয়ে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম যে তাকে ব্যাট থেকে দূরে দূরে বোলিং করে সেটআপ করা যাবে। পরে ইয়র্কার দিয়ে আউট করা যাবে। আমি গতিময় ইয়র্কারের বদলে স্লোয়ার দিয়ে দিই। আর তাতেই কাজ হয়ে যায়।’
চলতি আসরে দুর্দান্ত খেলছেন হার্শাল। এরই মধ্যে ১০ ম্যাচে ২৩ উইকেট শিকার করে ফেলেছেন। ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে এক আসরে এটিই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড। তার আগে ২০১৩ সালে বিনয় কুমার ও ২০১৫ সালে যুজবেন্দ্র চাহালও নিয়েছিলেন ২৩ উইকেট।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস