সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সমন্বয়কদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৯ জন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ও শনিবার (১ মার্চ) ভোরে উপজেলার খালকুলায় মেয়াদোত্তীর্ণ কেক বিক্রি নিয়ে  এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল ইসলাম।

আহত সমন্বয়করা হলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলার  আতিকুর রহমান, নুহ হোসেন, হাবিবুর রহমান, নাটোর সদরের আবদুলাহ আল নোমান, হাবিব হোসেন, আমিনুর রহমান ও ছোট হাবিব। অন্যদিক তাড়াশে আহত ব্যবসায়ীরা হলেন, মো. সাইদুর রহমান ও ফিরোজ হোসেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বড়াইগ্রাম থেকে সমন্বয়করা সাতটি বাসে প্রায় ২৫০ জন লোক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে কয়েকজন সমন্বয়ক তাড়াশের খালকুলায় নাশতা করতে নামেন। এ সময় সাইদুর রহমান নামে দোকানি তাদের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ কেক বিক্রি করেন। সমন্বয়করা প্রতিবাদ জানালে তিনি একজনের হাতে রড দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ করে সমন্বয়করা।

এ নিয়ে তারা ধাক্কাধাক্কি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে তিনজন আহত হন। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের শান্ত করলে সমন্বয়করা ঢাকায় চলে যান। শনিবার ভোরে অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে আবারও কয়েকজন সমন্বয়ক একই স্থানে নাশতা করতে নামেন। এ সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও লোকজন তাদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা ও মারামারিতে জড়ান। এ সময় ব্যবসায়ীরা চার সমন্বয়ককে হোটেলে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

নাটোর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ওবায়দুল্লাহ মিম বলেন, ‘খালকুলার ব্যবসায়ীরা কয়েকজন সমন্বয়ককে মারধর করেছেন। তিনজনের মাথা ফেটে গেছে।’