দুবাইতে বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় অনেকেই কাজ করে থাকেন। বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় কাজ করার রয়েছে অনেক সুযোগ-সুবিধা। দুবাইতে মাঝেমধ্যে বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় কাজ করার জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
তাই দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় যাওয়ার আগে অবশ্যই বেতন কেমন হবে, দুবাইতে বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসার সুযোগ সুবিধা কেমন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে জেনে নিতে হবে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক:-
দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসা কেমন?
দুবাইতে ম্যাক্সিমাম সময় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। যার কারনে বাইরে কাজ করা অনেকটা কষ্টকর হয়ে থাকে। এই কারণেই অনেকেই দুবাইতে বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় যেতে চান। তবে দুবাইতে রেস্টুরেন্ট ভিসায় বেতনের পরিমাণ কিছুটা কম। তবে দুবাইতে যদি বার ও রেস্টুরেন্টে এর ভিসায় আপনার কোন পরিচিত ব্যক্তি কাজ করে থাকেন এবং তার সুপারিশে আপনি যদি বার এবং রেস্টুরেন্ট এর ভিসায় গিয়ে কাজ করেন তাহলে ভালো বেতন পাবেন।
তাছাড়া এই ক্ষেত্রে আপনি সুযোগ-সুবিধাও অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি পাবেন।
বাংলাদেশে অনেক রিক্রটিং এজেন্সি রয়েছে যাদের মাধ্যমে আপনারা চাইলে সরাসরি দুবাইতে বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় গিয়ে কাজ করতে পারবেন। আপনার যদি হাতের কাজ অনেক ভাল হয়ে থাকে তাহলে অল্প সময়ের মধ্যেই বেতন অনেক বেড়ে যাবে।
দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসা আবেদন
দুবাই থেকে কয়েক ধরনের ভিসা দেওয়া হয় তাদের মধ্যে বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসা অন্যতম।
বর্তমানে দুবাইতে রেস্টুরেন্ট ভিসায় ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার লোক কর্মরত রয়েছেন।
দুবাই যেহেতু উন্নত একটি দেশ তাই সেখানে বিশ্বের অনেক দেশ থেকে লোক আসে যার পরিপ্রেক্ষিতে বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় প্রচুর লোক নিয়ে থাকে। তাই যদি সঠিক প্রশিক্ষণ থেকে থাকে তাহলে বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসার মাধ্যমে দুবাই যাওয়া যাবে।
দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে সরাসরি সরকার নিবন্ধিত এজেন্সির মাধ্যমে করতে হবে।
আবেদন করার পূর্বে যে এজেন্সির মাধ্যমে করতে চান সেই কোম্পানির লাইসেন্স নাম্বার ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার রয়েছে কিনা সেটা আগে থেকে জেনে নিবেন।যদি সবকিছু ঠিকঠাক মনে হয় তাহলে সেই এজেন্সির মাধ্যমে দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় কাজের দক্ষতা কেমন লাগবে?
দুবাইতে যে সকল বার এবং রেস্টুরেন্ট গুলা রয়েছে সবগুলোই মোটামুটি আন্তর্জাতিক মানের বার এবং রেস্টুরেন্ট। এই সকল বার এবং রেস্টুরেন্ট গুলোতে কাজ করতে হলে অবশ্যই দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে।
অর্থাৎ সবার জেনে রাখা ভালো যে দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট গুলোতে কাজ করতে হলে অভিজ্ঞতা ছাড়া এবং রেপুটেড ইনস্টিটিউটের সার্টিফিকেট ছাড়া কাজ করার সুযোগ নেই।
দুবাইতে বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় কাজ করতে হলে অবশ্যই অতি দক্ষতার সাথে এই কাজগুলো সম্পূর্ণ করতে হয়। তাই দুবাইতে বিশ্বমানের হোটেল গুলোতে কাজ করার জন্য অভিজ্ঞতা থাকার পাশাপাশি তার একটি প্রমাণ লিপি প্রয়োজন হবে। কেননা দুবাইতে রেস্টুরেন্ট মালিকরা সকল সময় দক্ষ কর্মী খুঁজে থাকেন যাদের মাধ্যমে তাদের রেস্টুরেন্ট টি সঠিকভাবে চালনা করা যাবে।
দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় কেমন ধরনের কাজ রয়েছে?
দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় যদি যান তাহলে দুবাইতে অবস্থিত অনেক ধরনের হোটেল ও রেস্টুরেন্টে আপনারা কাজ পাবেন। এই সকল বার এবং রেস্টুরেন্ট গুলোতে খাবার পরিবেশন, ফুড প্যাকেজিং, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, রান্নার কাজসহ অনেক ধরনের কাজ থাকবে।
বাংলাদেশীদের জন্য অনেক বার এবং রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে বাংলা শেফ নিয়োগ দিয়ে থাকে চাইলে দুবাইতে উক্ত রেস্টুরেন্টগুলোতেও কাজ করতে পারবেন।
দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় আবেদন করার নিয়ম?
দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় আবেদন করার প্রক্রিয়া অনেকটা সহজতর।
বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে সমস্ত এজেন্সি রয়েছে তাদের মাধ্যমে চাইলে আবেদন করা যাবে।
অর্থাৎ বাংলাদেশে যে সরকারি ও বেসরকারি এজেন্সি গুলো রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করে সরাসরি দুবাইতে বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন।
তাদের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারবেন দুবাইতে রেস্টুরেন্ট ভিসায় এখন কেমন বেতন পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে গিয়ে কি ধরনের কাজ পাবেন, কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা গুলো পাবেন ইত্যাদি। তাছাড়া আরো জানতে পারবেন সেখানে গিয়ে কত ঘন্টা ডিউটি করা লাগবে ও ওভারটাইম করার কোন সুযোগ সুবিধা রয়েছে কিনা।
দুবাই রেস্টুরেন্ট ভিসা করতে কত টাকা লাগে।?
দুবাইতে সরকারি এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে যদি রেস্টুরেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে খরচ হতে পারে ৩/৪ লক্ষ টাকার মধ্যে এবং যদি বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে খরচ পড়বে ৩লক্ষ্য৫০হাজার থেকে ৪ লক্ষ্য৫০ হাজার টাকার মতো। যদিও এটা সাধারণত কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে নেওয়া হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে সবথেকে ভালো হয় বেশ কয়েকটি এজেন্সির সাথে কথা বলে কারা কম টাকায় নিয়ে যাবে ও ভালো সুযোগ-সুবিধা দিবে।
দুবাই রেস্টুরেন্ট ভিসায় কাজের বেতন কত?
দুবাই রেস্টুরেন্ট ভিসায় সাধারণত দুই তিন শিফটে ৮ ঘণ্টা করে টোটাল ২৬ দিন কাজ করতে হয়। এই ২৬ দিন কাজ করার জন্য বার এবং রেস্টুরেন্ট থেকে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে ১৫০০ দিরহাম থেকে শুরু করে ২০০০ দিরহাম পর্যন্ত। যা সাধারণত বাংলাদেশি টাকায় ৪৫ হাজার টাকার কিছুটা কম বেশি।
তবে প্রথম অবস্থায় যদি কোন কর্মী মনে করে আমি প্রতিমাসে এক লাখ টাকা বেতন নিবো তাহলে সেটা ভুল, ধারণা হবে। সময়ের সাথে সাথে বেতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে ও কোম্পানির সাথে আপনার একটি ভালো বোঝাপড়া তৈরি হবে।
দুবাই রেস্টুরেন্ট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ সুবিধা
দুবাইতে রেস্টুরেন্টে যারা কাজ করে থাকেন তারা যদি কোন ধরনের বকশিশ বা টিপস পেয়ে থাকেন তাহলে সেটা রেস্টুরেন্টের সকল কর্মীদের সাথে ভাগ করে নিতে হবে। অর্থাৎ রেস্টুরেন্ট মালিক এই টাকাটা সবার উপরে ভাগ করে বোনাস হিসাবে দিয়ে থাকেন। তাছাড়া রেস্টুরেন্ট কর্মীদের মাঝে মধ্যে ট্যুর করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় যার মাধ্যমে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সহ সকল ধরনের খরচ কোম্পানি বহন করে থাকে। তাছাড়া আরো অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় কাজ করার।
শেষ কথা ,
আশা করি ইতিমধ্যে দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসা পাওয়ার উপায় বা দুবাই বার এবং রেস্টুরেন্ট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ।
এই মুহূর্তে এজেন্সি গুলোর মাধ্যে রয়েছে শতাব্দী ট্রাভেল, এস কে জেড কনসাল্ট , এম ও এস ট্রাভেলস, এই প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ভরযোগ্য এদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য রয়েছে ফোন নাম্বার :- 01933339500
01976973700
01735973700
01775609918