আপাতত ৪০ বছরের কম বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, টিকা বেশি এলে ৪০ বছরের নিচের বয়সীদের টিকা দেওয়ার চিন্তা করা হবে।
মন্ত্রী এ বিষয়ে আরও বলেন, ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত টিকা হাতে আসলে প্রদানের ক্ষেত্রে ৪০ বছরের বাধ্যবাধকতা কমিয়ে আনা হতে পারে। তিনি বলেন, টিকা প্রদানে বিশ্বের বহু দেশ এখনো হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাত এই টিকা প্রদানে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট সফলতা দেখিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে আগামীতেও বিশ্বব্যাপী এই সুনাম অক্ষুণ্ণ থাকবে।
তিনি বলেন, গত ১ মাস ১০ দিনব্যাপী টিকা প্রদানে বাংলাদেশের প্রশংসা শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশের ৪৫ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ টিকা নিতে নিবন্ধন করেছেন। ইতোমধ্যেই ৩৩ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। এছাড়া দেশের ১ হাজার ৭টি টিকা বুথে পর্যাপ্ত টিকা পাঠানো হয়েছে। আগামী জুলাই পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় কোভ্যাক্স-এর ১ কোটি ৯ লাখ ডোজ টিকাসহ মোট ৪ কোটি টিকা দেশের মানুষের শরীরে প্রদানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপণা বিষয়ে এক বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, টিকা প্রদানে ভবিষ্যতে যাতে কোনো রকম সমন্বয়হীনতা দেখা না দেয় সেজন্য প্রতি ১৫ দিন পর পর সচিবালয়ে অন্তত একটি করে টিকা আপডেট সভা করা হবে। পরবর্তী ধাপে দেশের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট একটি অংশসহ দেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদের, বিভিন্ন বন্দরে কর্মরত ব্যক্তিদের, দেশের পাঁচ তারকা হোটেলে কর্মরত ব্যক্তিদেরকেও টিকা প্রদান করা হবে।
আগামীতে আরও টিকা কেনাতে বিশ্বের বিভিন্ন দাতা সংস্থাগুলো প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা প্রদানে আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।