বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। অথচ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে হারের আগে হার নয় বলে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া খেলোয়াড়দের অসহায় আত্মসমর্পনই করতে হয়েছে ম্যাচে। লাল-সবুজ দলটির ইংলিশ কোচ জেমি ডে অবশ্য হারটাকে আগে থেকেই স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন। ম্যাচ হারের পর ‘সমালোচনা’ তাই নিতে পারছেন না।
কাতার থেকে দল আগেই দেশে ফিরেছে। আসেননি ডে। তিনিসহ অন্য বিদেশি কোচিং স্টাফরা যার যার দেশে ফিরে গেছেন। লন্ডনে আপাতত ডে বিশ্রামে আছেন। করোনার পর ডাক্তার তাকে ৩- ৪ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।
ডে আগেই বলেছেন তিনি ছাত্রদের পারফরম্যান্সে খুশি, ‘নেপালের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ হয়েছে। এরপর কাতারের বিপক্ষে খেলেছে দল। আমি মনে করি যে পরিস্থিতিতে তিনটি ম্যাচ খেলেছে ছেলেরা, ভালো করেছে। তাদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। কাতারের ম্যাচে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ৮ জন খেলোয়াড় খেলেছে। কেউ এটা দেখছে না। বাংলাদেশে শুধু আমরা নেতিবাচক বিষয়গুলোই আমরা নিই।’ কাতারের কাছে বড় ব্যবধানে হারবে দল, তা আগেই বুঝতে পারছিলেন ডে। যদিও তার অধিনায়ক বলছিলেন অন্তত একটি পয়েন্ট চান, ‘কাতার এশিয়ান চ্যাম্পিন। তাদের কাছে বড় ব্যবধানে হারতে হবে তা আগেই বুঝতে পারছিলাম। আমাদের প্রস্তুতি মাত্র পাঁচ সপ্তাহের। করোনায় খেলা বন্ধ ছিল। আর ওরা (কাতার) তো লিগ খেলেছে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছে। তাই ম্যাচের আগেই বলেছিলাম ওদের ম্যাচটি জেতা উচিত। আর জামাল যদি পয়েন্টের কথা না বলতো তাহলে দেখা যেত ওই সময় ওকে সবাই নেতিবাচক বলতো।’
আগামীতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বর ম্যাচের আগে অন্তত দুটি করে প্রীতি ম্যাচ খেলতে চাইছেন তিনি, ‘আগামীতে বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোতে ভালো করতে হলে অন্তত দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে চাই। এমন দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে চাই যেখানে আমাদের ভালো করার সুযোগ আছে। র্যাঙ্কিং বাড়ার সুযোগ থাকবে। ছেলেরা আরও অভিজ্ঞ হবে। এছাড়া দলও খেলার মধ্যে থাকবে। ঘরোয়া ফুটবল চলবে। সবাই আশা করি ফিট থাকবে।’